Our social:

Thursday, January 5, 2017

সংখ্যালঘুদের উপরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে কমপক্ষে ৩১০ টি

শুধুমাত্র ২০১৬ সালে নভেম্বর মাসেই সংখ্যালঘুদের উপরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে কমপক্ষে ৩১০ টি। ভাবা যায়!
আর দুর্ভাগ্যবশত আমাদের সাধু-সন্তরা এসি রুমে সুয়ে, এবং কোটি টাকার এসি গাড়িতে ঘুরে বলে বেড়ান-
"এগুলো সকল বিচ্ছিন্ন ঘটনা! "
অথবা,
"অত্যাচারিত হওয়া সকলই গোবিন্দের ইচ্ছা, নিত্যসেবার টাকা বাড়িয়ে দিন ; তবেই গোবিন্দ এবং শ্রীমতি রাধারানী কৃপা করে আপনাদের রক্ষা করবে।"
অথবা,
ঠাকুরের প্রণামীর টাকা আগে যা দিতেন তা থেকে টাকা বাড়িয়ে দিন এবং মাসের ৩০ তারিখের মধ্যেই পাঠাবেন ;
তবেই দয়াল ঠাকুরের কৃপায় সকল সমস্যার সমাধান।

ইত্যাদি, ইত্যাদি আরো অনেক কথা!
২০১৬ সালের একাদশ মাস নভেম্বরে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর কমপক্ষে ৩১০টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এ সবের অধিকাংশ একক ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি, পরিবার, আদিবাসী সম্প্রদায় ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার সংখ্যা কমপক্ষে কয়েক হাজার এ সময়ে ১১ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৪২ জন, অপহরণের শিকার হয়েছেন ৩ জন, জমিজমা, ঘরবাড়ি, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, দখল ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে সহস্রাধিক। ২০১০টি পরিবারকে উচ্ছেদের হুমকিসহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বড়িঘর, প্রতিমা ভাঙ্গচুর ৫৭টি, মন্ডবে হামলা, আগুন ও চুরি ৫৪টি। জীবন নাশের হুমকি ২, আসামি করা হয়েছে এবং জেল ২ জনের, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনা ঘটেছে ৩টি, বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে ৬টি হিন্দু পরিবারকে, সম্পত্তি দখল ৪ হিন্দু পরিবারের যার আর্থিক পরিমান প্রায় ২০ কোটি টাকা এবং নারীসহ শিশু ধর্ষণ ৫জন, ধর্মান্তরিত ১, অপহরণ ৩। গাইবান্ধায় সাঁওতালদের ২ হাজারের বেশি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয় আর আসামী করা হয় শতাধিক আদিবাসীকে। নাসিরনগর, ফেনী এবং গাইবান্ধার ঘটনাসহ এমন ৭টি ঘটনার সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। আর প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই ঘটনাগুলো ঘটে বলে অভিযোগ।



 

1 comment: