Our social:

Thursday, January 5, 2017

বর্তমানে আমাদের গৃহীদের ন্যায় আমাদের সাধুরাও এতো ভোগসর্বস্ব হয়ে যাচ্ছে

খুবই দুঃখজনকভাবে বলতে হচ্ছে, বর্তমানে আমাদের গৃহীদের ন্যায় আমাদের সাধুরাও এতো ভোগসর্বস্ব হয়ে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশে ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্যে 'মরার উপরে খাড়ার ঘায়ের ন্যায় ' বলে প্রতীয়মান হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। এই কারণেই শ্রীমদ্ভাগবতে ব্যাসদেব কলিকালের সাধুদের নিয়ে আগেই সাবধান করে দিয়েছিলেন । শ্রীমদ্ভাগবতের দ্বাদশ স্কন্ধের "কলি-ধর্ম-কথা" নামক দ্বিতীয় অধ্যায়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে।
এর মধ্যে দুটি বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়:
১.কলিকালে সাধুদের ভেতরের সাধুত্ব নয় ; তাদের বাইরের বেশভূষা দিয়েই শুধুমাত্র তারা যে সাধু এটা চেনা যাবে।
২.সন্ন্যাসীদের আশ্রমগুলি হবে গৃহিদের ঘরের মত। গৃহীদের মতো সকল প্রকার বিলাসিতার ভোগ্যপণ্যে
পরিপূর্ণ থাকবে সন্ন্যাসীর গৃহ এবং দেহ।
যখন ভারতের পুরীতে গিয়েছিলাম তখন শ্রীচৈতন্যদেবের গম্ভীরাতে গিয়েছিলাম। এই গম্ভীরাতেই তিনি তাঁর শেষজীবনের ১২ বছরের অধিক সময় কাটিয়েছিলেন। সেখানে দেখলাম, শ্রীচৈতন্যদেব ছিলেন ৬ ফিটের উপরে একজন ব্যক্তি ; তার সমান দৈর্ঘ্যপ্রস্থের একটা ছোটরুমে তিনি থাকতেন। আর তাঁর সম্বল ছিলো শচীমায়ের দেয়া একটা কাঁথা এবং কলার খোল দিয়ে তৈরি করা একটা ছোট বালিশ আর সন্ন্যাসীর দণ্ড -কমণ্ডলু। একই বিষয় আমরা শ্রীরূপ-সনাতনাদি ষড় গোস্বামীর জীবনেও দেখি। তাঁরাও ছিলেন বিনয়েয়-কৃচ্ছ্রতার মূর্তপ্রতীক।
আর শ্রীচৈতন্যদেব এবং ষড় গোস্বামীদের পরম্পরাগত বর্ত্তমান সন্ন্যাসী, সাধু -সন্ত এবং গুরুরা !?
কি আর বলবো, তাদেরতো প্রতিদিন দুচোখেই দেখছেন!

 

0 comments:

Post a Comment