আজ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবাই বুঝি আমরা নবকুমারের মতো বাঁচবার পথ, মুক্তির পথ খুঁজে বেড়াচ্ছি।
"পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?"
মনে পরে বঙ্কিমচন্দ্রের অমর সৃষ্টি "কপালকুণ্ডলা' উপন্যাসে কপালকুণ্ডলার উক্তি নায়ক নবকুমারের প্রতি!
আজ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবাই বুঝি আমরা নবকুমারের মতো বাঁচবার পথ, মুক্তির পথ খুঁজে বেড়াচ্ছি। জানিনা কোন শক্তিময়ী কপালকুণ্ডলা আমাদের সত্যিকারের পথ দেখাতে পারবে কিনা?
মনে পরে বঙ্কিমচন্দ্রের অমর সৃষ্টি "কপালকুণ্ডলা' উপন্যাসে কপালকুণ্ডলার উক্তি নায়ক নবকুমারের প্রতি!
আজ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবাই বুঝি আমরা নবকুমারের মতো বাঁচবার পথ, মুক্তির পথ খুঁজে বেড়াচ্ছি। জানিনা কোন শক্তিময়ী কপালকুণ্ডলা আমাদের সত্যিকারের পথ দেখাতে পারবে কিনা?
কিন্তু এমন তো হবার কথা ছিলো না!
কিন্তু কেন এমন হল?
এ প্রশ্নের উত্তর আজ আমাদের খুঁজতে হবে
ইতিহাসের পাতা থেকে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাঙালি হিন্দু ইতিহাস থেকে কখনো শিক্ষা নেইনি। সে শিক্ষা-দীক্ষায় অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকার পরেও প্রতিনিয়ত হেরে গেছে, শুধুমাত্র কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের কারণে। সে শুধু কোয়ালিটির পেছনেই দৌড়েছে, কিন্তু দিনশেষে দেখা গেল যারা শুধুমাত্র 'পয়দা কর, ফায়দা লোট' এ আদর্শে চলেছে তারাই আজ কোয়ান্টিটির জোরে জয়ী। আর বাঙালি হিন্দু
হতভাগা হয়ে লক্ষ্মীছাড়াদশা! ইতিহাসের পাতায় পাতায় সে শুধু ভুল করেই গিয়েছি। যে ভুলের খেসারৎ সে প্রতিনিয়ত দিয়েই চলছে, আর কতকাল দিতে হবে জানিনা!
কিন্তু কেন এমন হল?
এ প্রশ্নের উত্তর আজ আমাদের খুঁজতে হবে
ইতিহাসের পাতা থেকে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাঙালি হিন্দু ইতিহাস থেকে কখনো শিক্ষা নেইনি। সে শিক্ষা-দীক্ষায় অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকার পরেও প্রতিনিয়ত হেরে গেছে, শুধুমাত্র কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের কারণে। সে শুধু কোয়ালিটির পেছনেই দৌড়েছে, কিন্তু দিনশেষে দেখা গেল যারা শুধুমাত্র 'পয়দা কর, ফায়দা লোট' এ আদর্শে চলেছে তারাই আজ কোয়ান্টিটির জোরে জয়ী। আর বাঙালি হিন্দু
হতভাগা হয়ে লক্ষ্মীছাড়াদশা! ইতিহাসের পাতায় পাতায় সে শুধু ভুল করেই গিয়েছি। যে ভুলের খেসারৎ সে প্রতিনিয়ত দিয়েই চলছে, আর কতকাল দিতে হবে জানিনা!
১৮৩৫ সালে ব্রিটিশরা আমাদের নিজস্ব শিক্ষা
ব্যবস্থাকে নিষিদ্ধ করে যখন পাশ্চাত্য ভাষায় এবং পাশ্চাত্য রীতিনীতিতে আমাদের
শিক্ষা ব্যাবস্থাকে রূপান্তরিত করে ; তখন থেকেই যে
ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো হয় সেই জাল আজও আমরা ছিন্ন করতে পারিনি। এ ষড়যন্ত্রকারীদের
অন্যতম নায়ক হলেন লর্ড ম্যাকলে। তিনি চেয়েছিলেন ভারতের জনসাধারণ শুধু নামেই থাকবে
ভারতীয়, কিন্তু তার চাল-চলন, আচার-ব্যাবহার সব কিছুই থাকবে ব্রিটিশের মতো। ভারতীয়রা থাকবে তাদের পোষা
কুকুরছানার মতো। ইচ্ছে হলে আদর করবে, আর না হলে লাথি
দিয়ে বের করে দিবে।
ব্রিটিশদের সত্যি অনেক ভবিষ্যদ্দৃষ্টি ছিলো
বলতে হবে; কারণ তারা যা চেয়েছে আজ তাই হয়েছে এবং হচ্ছে। সীমাহীন মিথ্যাচার এবং তথ্যসন্ত্রাস চলছে আমাদের ইতিহাসকে ঘিরে। এ ইতিহাসের ঘুর্ণিপাকে আমরা দিন-রাত্রি হাতরে বেড়াচ্ছি পারের এবং সত্যের ঠিকানা। মিথ্যাচার করার জন্যে অন্য ধর্মাবলম্বীদের কথা না হয় বাদ দিলাম, সামান্য সার্থের জন্যে পিণাকী মার্কা ভণ্ড অসংখ্য ছদ্মবেশীদের অন্ত নেই। এদের অপসৃত করে আমাদের ফিরতে হবে পারের ঠিকানায়
এবং একতার ঠিকানায়। তা নাহলে কেউ বাঁচতে পারবো না এবং অসহায় সংখালঘু সম্প্রদায়ের
সাথে সাথে একাত্তুরের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জন্ম নেয়া এ রাষ্ট্রটিও হয়তো তার আসল স্বরূপে বাঁচতে পারবে না! সে তাঁর সুজলা-সুফলা মাতৃত্বের স্বরূপ হারিয়ে হয়ে উঠবে ধু ধু রুক্ষ মরুভূমির ভয়ংকরী কাঁটাবন। আর তাঁর বুকের উপর ধংসের প্রলয় উল্লাস করে বেড়াবে হিংস্র শ্বাপদের দল।
বলতে হবে; কারণ তারা যা চেয়েছে আজ তাই হয়েছে এবং হচ্ছে। সীমাহীন মিথ্যাচার এবং তথ্যসন্ত্রাস চলছে আমাদের ইতিহাসকে ঘিরে। এ ইতিহাসের ঘুর্ণিপাকে আমরা দিন-রাত্রি হাতরে বেড়াচ্ছি পারের এবং সত্যের ঠিকানা। মিথ্যাচার করার জন্যে অন্য ধর্মাবলম্বীদের কথা না হয় বাদ দিলাম, সামান্য সার্থের জন্যে পিণাকী মার্কা ভণ্ড অসংখ্য ছদ্মবেশীদের অন্ত নেই। এদের অপসৃত করে আমাদের ফিরতে হবে পারের ঠিকানায়
এবং একতার ঠিকানায়। তা নাহলে কেউ বাঁচতে পারবো না এবং অসহায় সংখালঘু সম্প্রদায়ের
সাথে সাথে একাত্তুরের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জন্ম নেয়া এ রাষ্ট্রটিও হয়তো তার আসল স্বরূপে বাঁচতে পারবে না! সে তাঁর সুজলা-সুফলা মাতৃত্বের স্বরূপ হারিয়ে হয়ে উঠবে ধু ধু রুক্ষ মরুভূমির ভয়ংকরী কাঁটাবন। আর তাঁর বুকের উপর ধংসের প্রলয় উল্লাস করে বেড়াবে হিংস্র শ্বাপদের দল।
তাই কপালকুণ্ডলা যেমন করে পথহারা নবকুমারকে
পথ দেখিয়েছিলো, আমরাও আছি পথহারা হয়ে এমন কপালকুণ্ডলার
প্রতিক্ষায়।
(জানিনা, সুজন মাঝি তার নাওকে পারে ভিরাতে পারবে কিনা; নাকি অথৈজলে শুধু ভেসেই চলবে আমৃত্যু! )
0 comments:
Post a Comment