বাংলাদেশের বৌদ্ধরা ছিলো মহাযানপন্থী
আজ কয়েকদিন থেকেই দেখছি কমলাপুর বৌদ্ধ বিহারের মাঠে দুর্গাপূজা নিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ব্যক্তির সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং প্রচারণা। আমি খুবই অবাক হয়েছি যে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে আমরা আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়েরই একজন মনে করি সেই তাদের নিখাদ অকপট, ধর্মান্ধ হিন্দুবিদ্বেষ বিস্ময়কর। এই বিদ্বেষানলের উৎসভূমি খুজতে গেলে দেখবেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো কিছু মহান ব্যক্তিদের সরলতার সুযোগ নিয়ে শ্রীলংকান বৌদ্ধ সাম্প্রদায়িক অনাগরিক ধর্মপাল প্রতিষ্ঠা করে মহাবোধি সোসাইটি। ১৮৯১ সালে এটা হিন্দুদের দানে এবং সার্বিক উৎসাহে কোলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় এ সংগঠনটি।
বাংলাদেশের বৌদ্ধরা ছিলো মহাযানপন্থী। আর তাই বাংলায় হিন্দু বৌদ্ধদের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য ছিলো না বললেই চলে। বাংলাদেশের বৌদ্ধ পুরাতাত্ত্বিক ক্ষেত্রগুলোতে দেখবেন বিভিন্ন বৌদ্ধ দেবদেবীদের জয়জয়কার। কিন্তু মহাবোধি সোসাইটির প্রচারের ফলে মহাযানপন্থী বৌদ্ধরা হয়ে যায় তীব্র হিন্দু বিদ্বেষী হীনযানপন্থী। হীনযানপন্থীদের নেতৃত্বে শ্রীলংকা, বার্মা এবং থাইল্যান্ড এ তিনটি দেশ। এ দেশগুলোতে বৌদ্ধভিক্ষুরা সরাসরি রাষ্ট্রকাঠামোর সাথে যুক্ত।
এই চট্টগ্রামে হিন্দু -বৌদ্ধদের মধ্যে পার্থক্য খুব সামান্যই ছিলো। বৌদ্ধরা সবাই লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা করতো এবং দুর্গাপূজায় অংশগ্রহণ করতো। আজ থেকে কয়েকবছর আগেও চাকমা রানী কালিন্দীদেবীর মূদ্রায় -নারায়ণ সহায়, ভদ্রাকালী সহায় লেখা ছিলো।
আর আজ?
অতীশ দীপঙ্কর নামের এই পেজে চাকমা টাইটেলধারীদের মন্তব্যগুলো দয়া করে পড়ে নিবেন।
আর আজ?
অতীশ দীপঙ্কর নামের এই পেজে চাকমা টাইটেলধারীদের মন্তব্যগুলো দয়া করে পড়ে নিবেন।
মহাবোধি সোসাইটির বইগুলো পড়েই শ্রীঙ্কান কট্টর সাম্প্রদায়িক হিন্দুবিদ্বেষী বৌদ্ধমত ভাইরাস আকারে ভারতে প্রবেশ করে।
যাদের অন্যতম মগজধোলাইয়ের শিকার হয় আম্বেদকর। পরে আম্বেদকরের আত্মঘাতী আত্মপ্রতিষ্ঠার ভাইরাসের শিকার হয় অসংখ্য গরিব কথিত নিন্মবর্ণের হিন্দুরা। বাংলায় বিশেষ করে বৃহত্তর চট্টগ্রামে এ কট্টরপন্থী মত নিয়ে আসে সারমেধ মহাথেরো, বেণীমাধব বড়ুয়া ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গ এবং চাকমাদের মাঝে সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভান্তে)।
যাদের অন্যতম মগজধোলাইয়ের শিকার হয় আম্বেদকর। পরে আম্বেদকরের আত্মঘাতী আত্মপ্রতিষ্ঠার ভাইরাসের শিকার হয় অসংখ্য গরিব কথিত নিন্মবর্ণের হিন্দুরা। বাংলায় বিশেষ করে বৃহত্তর চট্টগ্রামে এ কট্টরপন্থী মত নিয়ে আসে সারমেধ মহাথেরো, বেণীমাধব বড়ুয়া ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গ এবং চাকমাদের মাঝে সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভান্তে)।
আজ জল অনেক দূর গড়িয়ে যাচ্ছে। তাই শতবছর আগের রোপন করা বিষবৃক্ষে ফল ধরেছে। স্বামী বিবেকানন্দের পত্রাবলীতে দেখবেন কট্টরপন্থী হীনযান বৌদ্ধ অনাগরিক ধর্মপাল সম্পর্কে তিনি সাবধান করে দিয়েছেন আমাদের বারবার। কিন্তু আমরা কি বিবেকানন্দের কথা শুনেছি? আমরা খাল কেটে কুমির নিয়ে এসেছি!
বৌদ্ধগ্রন্থ মহাবস্তুতে লেখা আছে, যে বুদ্ধ সন্যাস নেবার পরে তার মায়ের সাথে দেখা করতে কপিলাবস্তুতে আসে তখন তিনি শাক্যবংশের কূলদেবী অভয়াদেবীর (দুর্গাদেবী) পূজা করেন। বুদ্ধের মায়ের নামও দুর্গার নামে মহামায়া। এবং বৌদ্ধতন্ত্রে অন্যতম প্রধান দেবীই হলেন অষ্টভুজা অপরাজিতা (দুর্গা)।
সব থেকে বিস্ময়কর এবং হাস্যকর কথা হলো সেই দুর্গার উপাসনাতেই বৌদ্ধবিহার নাকি অপবিত্র হয়ে যায়!
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে কি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা মন্দিরের মধ্যে একসাথে বুদ্ধ,যিশু, রাম, কৃষ্ণের মূর্তি একবেদিতে বসিয়ে প্রার্থনা করছে?
৯৮% হিন্দুদের এই হলে সাত ফিটের অনুমতি নিয়ে যখন পাহাড়ের মতো একটা বৌদ্ধমূর্তি স্থাপন করা হয় শুধুমাত্র স্বামী বিবেকানন্দের ভাস্কর্য থেকে সবার দৃষ্টি সরানোর উদ্দেশ্য নিয়ে। তখন? এর পরেও হিন্দুদের যখন দেখতে হয় এবং শুনতে হয়-
৯৮% হিন্দুদের এই হলে সাত ফিটের অনুমতি নিয়ে যখন পাহাড়ের মতো একটা বৌদ্ধমূর্তি স্থাপন করা হয় শুধুমাত্র স্বামী বিবেকানন্দের ভাস্কর্য থেকে সবার দৃষ্টি সরানোর উদ্দেশ্য নিয়ে। তখন? এর পরেও হিন্দুদের যখন দেখতে হয় এবং শুনতে হয়-
আসুন বৌদ্ধবিহার প্রাঙ্গণে দুর্গাপূজাকে সকলে না বলি এবং বৌদ্ধবিহারের পবিত্রতা রক্ষা করি।
তবে আমার আর কিছুই বলার নেই!
0 comments:
Post a Comment