দুর্গাপূজায় সাত্ত্বিক পূজার মাধ্যমে অর্থের সদ্ব্যবহার করে শিক্ষাবৃত্তি এবং অভাবগ্রস্তদের প্রতি সহায়তা অনুদান চালু করা,
গতো ৩০.০৯. ১৬ তারিখে সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, চট্টগ্রামের মহালয়ার দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয় মহাকালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুপুর ৩টা থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল সপ্তশতী পাঠ (গীতা ও চণ্ডী), ধর্মীয় সংগীত, শাস্ত্রীয় নৃত্য, দুর্গামায়ের ধ্যানমন্ত্রানুসারে শুদ্ধ মাতৃপ্রতিমার চিত্রাঙ্কন এবং ধর্মীয় প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয় ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠান। আলোচনার নির্ধারিত বিষয় ছিল ‘বাঙালি সংস্কৃতিতে শারদীয় দুর্গোৎসবের সর্বজনীন প্রেরণা।’
এ আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বামী ইষ্টানন্দের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শ্রীসরোজ কান্তি সিংহ হাজারী।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, আনসার ভিডিপি চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের পরিচালক শ্রীনির্মলেন্দু বিশ্বাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শ্রীতাপসী ঘোষ রায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শ্রীকুশল বরণ চক্রবর্তী, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী শ্রীনটু কান্তি সরকার, সংস্কৃত ভাষা প্রচারক শ্রীমিলন কান্তি দেবনাথ সহ অন্যান্য অতিথি এবং আলোচকবৃন্দ।
এতে আলোচকবৃন্দ সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের আহ্বান অনুসারে দুর্গাপূজায় সাত্ত্বিক পূজার মাধ্যমে অর্থের সদ্ব্যবহার করে শিক্ষাবৃত্তি এবং অভাবগ্রস্তদের প্রতি সহায়তা অনুদান চালু করা, পাশাপাশি বেদ, গীতা ও চণ্ডীসহ ধর্মীয় গ্রন্থ বিতরণ করা, সাত্ত্বিক পূজার মাধ্যমে মায়ের আশীর্বাদ লাভ করা, পূজায় আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূজার মাহাত্ম্য ও স্বরূপ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা, পূজার ধ্যানমন্ত্রের বর্ণনানুসারে মায়ের প্রতিমা জগজ্জননীরূপে তৈরি করা, অশ্লীল সংগীত ও ডিজে ব্যবহার বন্ধ করে ধর্মীয় সংগীত, ঐতিহ্যবাহী ধুনুচি নৃত্য ও ঢাকের ব্যবহারকে আরো প্রসারিত করা, পূজার তিথিগুলোতে সকল ধরণের মাদকদব্য সেবন থেকে বিরত থেকে শুদ্ধ হৃদয়ে মাতৃ আরাধনায় ব্রতী হওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।
বর্তমান বাস্তবতায় এমন একগুচ্ছ বিষয় মানুষের সামনে আনায় বক্তারা সনাতন বিদ্যার্থী সংসদকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এ আহবানগুলো বাস্তবায়নে সার্বক্ষণিক ভাবে সনাতন বিদ্যার্থীর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, আনসার ভিডিপি চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের পরিচালক শ্রীনির্মলেন্দু বিশ্বাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শ্রীতাপসী ঘোষ রায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শ্রীকুশল বরণ চক্রবর্তী, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী শ্রীনটু কান্তি সরকার, সংস্কৃত ভাষা প্রচারক শ্রীমিলন কান্তি দেবনাথ সহ অন্যান্য অতিথি এবং আলোচকবৃন্দ।
এতে আলোচকবৃন্দ সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের আহ্বান অনুসারে দুর্গাপূজায় সাত্ত্বিক পূজার মাধ্যমে অর্থের সদ্ব্যবহার করে শিক্ষাবৃত্তি এবং অভাবগ্রস্তদের প্রতি সহায়তা অনুদান চালু করা, পাশাপাশি বেদ, গীতা ও চণ্ডীসহ ধর্মীয় গ্রন্থ বিতরণ করা, সাত্ত্বিক পূজার মাধ্যমে মায়ের আশীর্বাদ লাভ করা, পূজায় আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূজার মাহাত্ম্য ও স্বরূপ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা, পূজার ধ্যানমন্ত্রের বর্ণনানুসারে মায়ের প্রতিমা জগজ্জননীরূপে তৈরি করা, অশ্লীল সংগীত ও ডিজে ব্যবহার বন্ধ করে ধর্মীয় সংগীত, ঐতিহ্যবাহী ধুনুচি নৃত্য ও ঢাকের ব্যবহারকে আরো প্রসারিত করা, পূজার তিথিগুলোতে সকল ধরণের মাদকদব্য সেবন থেকে বিরত থেকে শুদ্ধ হৃদয়ে মাতৃ আরাধনায় ব্রতী হওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।
বর্তমান বাস্তবতায় এমন একগুচ্ছ বিষয় মানুষের সামনে আনায় বক্তারা সনাতন বিদ্যার্থী সংসদকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এ আহবানগুলো বাস্তবায়নে সার্বক্ষণিক ভাবে সনাতন বিদ্যার্থীর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে গুণীজন এবং ধর্ম, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সমাজ উন্নয়নে অবদানশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ স্মারক সম্মাননা - ১৪২৩ বঙ্গাব্দ’ প্রদান করা হয়। প্রথমে বাঙালি লোকসংস্কৃতি প্রচারে অনন্য অবদান রাখায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান শিল্পী শ্রীঅলক রায়কে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। ধর্মক্ষেত্রে ফতেয়াবাদ রামকৃষ্ণ আশ্রমকে, সংস্কৃতিক্ষেত্রে ঐক্যতান সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীকে, সমাজ উন্নয়নে ফতেয়াবাদ পল্লী সংগঠন সমিতিকে এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে সিপিসিএফ কে তাদের অনন্য অবদানের জন্য স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়।
পরিশেষে সম্মানিত প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ দ্বারা ফতেয়াবাদ মহাকালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুজন মেধাবী ছাত্রীকে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি প্রদান এবং সকল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
0 comments:
Post a Comment